ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপলোড সময় : ১২-১০-২০২৪ ০৯:৪৩:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ০৯:৪৩:২৫ অপরাহ্ন
​সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে: প্রধান উপদেষ্টা ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার এমন একটি দেশ গড়তে চায় যা নিয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায় যেখানে সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে দুর্গাপূর্জা উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দিয়ে আনন্দ উৎসব করতে হবে। এজন্য ছাত্রসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন একটি সমাজ গঠনের চেষ্টা করছে। আগামী দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে পূজা বা যেকোনো উৎসব পালন করতে যেন না হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে সবাইকে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু সংখ্যালঘু নয়, মুসলমানদের ছেলে-মেয়েরাও ঘর থেকে বের হলে বাসায় ফিরবে কিনা সে নিরাপত্তা ছিল না। এমন সমাজ আমরা চাই না। আমরা একটি কাল্পনিক সমাজের কথা বলছি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে এমন সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব। আমরা অধিকারবঞ্চিত মানুষ ছিলাম। সব অধিকার একটি গোষ্ঠীর কাছে ছিল। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এখন সময় এসেছে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। যে অধিকার কেড়ে নিতে চাইবে তাদের শাস্তি হবে। সবার অধিকার রক্ষায় সংস্কার কমিটিগুলো রূপরেখা দেবে। কিন্তু কমিশনের মাধ্যমে দেশ পাল্টে দেয়া সম্ভব নয়, তবে একটি রূপরেখা তারা দিতে পারবেন। দেশটাকে পাল্টে ফেলার এই সুযোগ যেন হাত ছাড়া না হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা আমরা করতে পেরেছি সবাই মিলে। এর পেছনে সরকারের বড় একটা প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা হলো, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি যত রকমের সরকারের কাছে শান্তিরক্ষা বাহিনী ছিল সবাই। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ, সহজ কাজ না। কঠিন কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে পেরেছে। এই কঠিন কাজটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সমাধা করতে পেরেছে। সবাই মিলে কাজ করলে যে সফলতা পাওয়া যায়, সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন।


বাংলা স্কুপ/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ